Monday 24 September 2018

ইল্‌ম নিয়ে হাদীস বুখারী শরীফ অধ্যায় (৫৭-৮০)


ইল্‌ম নিয়ে হাদীস বুখারী শরীফ অধ্যায় (৫৭-৮০)


➢  হাদিস ৫৭:  মুহাম্মদ ইব্ন সিনান (র) ও ইবরাহীম ইব্নুল মুনযির (র) …….. আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মজলিসে লোকদের সামনে কিছু আলোচনা করছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে একজন বেদু্ঈন এসে প্রশ্ন করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর আলোচনায় রত রইলেন। এতে কেউ কেউ বললেন, লোকটি যা বলেছে তিনি তা শুনেছেন কিন্তু তার কথা পছন্দ করেন নি। আর কেউ কেউ বললেন বরং তিনি শুনতেই পান নি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলোচনা শেষ করে বললেনঃ ‘কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথয়?’ সে বলল, ‘এই যে আমি, ইয়া রাসূলুল্লাহ!’ তিনি বললেনঃ ‘যখন আমানত নষ্ট করা হয় তখন কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে।’ সে বলল, ‘কিভাবে আমানত নষ্ট করা হয়?’ তিনি বললেনঃ ‘যখন কোন কাজের দায়িত্ব অনুপযুক্ত লোকের প্রতি ন্যস্ত হয়, তখন তুমি কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে।



➢  হাদিস ৫৮: আবু’ন নু’মান (র) …….. আবদুল্লাহ ইব্ন ‘আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের পেছনে রয়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে দেরী করে ফেলেছিলাম এবং আমরা অযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুষ্কতার) জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।



➢  হাদিস ৫৯: কুতায়বা ইব্ন সা’ঈদ (র) ……… ইব্ন ‘উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার বললেনঃ গাছপালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার পাতা ঝরে না। আর তা মুসলিমের উপমা। তোমরা আমাকে বল, ‘সেটি কি গাছ?’ রাবী বলেন, তখন লোকেরা জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ-পালার নাম চিন্তা করতে লাগল। আবদুল্লাহ (রা) বলেন, ‘আমার মনে হল, সেটা হবে খেজুর গাছ।’ কিন্তু আমি তা বলতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তারপর সাহাবায়ে কিরাম (রা) বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি আমাদের বলে দিন সেটি কি গাছ? তিনি বললেনঃ তা হল খেজুর গাছ।



➢  হাদিস ৬০: খালিদ ইবন মাখলাদ (র)… ইবন উমর (রা;) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (সাঃ) একবার বললেনঃ ‘গাছ-পালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার পাতা ঝরে না। আর তা মুসলিমের উপমা। তোমরা আমাকে বল দেখি, সেটি কি গাছ?’ রাবী বলেন, তখন লোকেরা জঙ্গলের বিভিন্ন গাছপালার নাম চিন্তা করলে লাগল। আবদুল্লাহ (রা) বলেন, ‘আমার মনে হয়, সেটা হবে খেজুর গাছ। কিন্তু তা বলতে আমি লজ্জাবোধ করছিলাম।’ তারপর সাহাবায়ে কিরাম (রা) বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনিই বলে দিন সেটি কি গাছ? তিনি বললেনঃ ‘তা হল খেজুর গাছ।’



➢   হাদিস ৬১: মুহাম্মদ ইবন সালাম (র)……হাসান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উস্তাদের সামনে শাগরিদের পাঠ করাতে কোন বাধা নেই। ‘উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র) সুফিয়ান (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, যখন মুহাদ্দিসের সামনে (কোন হাদীস) পাঠ করা হয় তখন … (তিনি আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন) বলায় কোনো আপত্তি নেই। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবূ আসিমকে মালিক ও সুফিয়ান (র) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, ‘উস্তাদের সামনে পাঠ করা এবং উস্তাদের নিজে পাঠ করা একই পর্যায়ের।’



➢   হাদিস ৬২: আবদুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ (র) …….. আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি সওয়ার অবস্থায় ঢুকল। মসজিদে (প্রাঙ্গণে) সে তার উটটি বসিয়ে বেঁধে রাখল। এরপর সাহাবীদের লক্ষ্য করে বলল, ‘তোমাদের মধ্যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে?’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন তার সামনেই হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। আমরা বললাম, ‘এই হেলান দিয়ে বসা ফর্সা রঙের ব্যক্তিই হলেন তিনি।’ তারপর লোকটি তাঁকে লক্ষ্য করে বলল, ‘হে আবদুল মুত্তালিবের পুত্র!’ নবী করীম (সাঃ) তাকে বললেনঃ ‘আমি তোমার জওয়াব দিচ্ছি।’ লোকটি বলল, ‘আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব এবং সে প্রশ্ন করার ব্যাপারে কঠোর হব, এতে আপনি রাগ করবেন না।’ তিনি বললেন, ‘তোমার যেমন ইচ্ছা প্রশ্ন কর।’ সে বলল, ‘আমি আপনাকে আপনার রব ও আপনার পূর্ববর্তীদের রবের কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আল্লাহই কি আপনাকে সকল মানুষের রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘আল্লাহ সাক্ষী, হাঁ।’ সে বলল, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহই কি আপনাকে দিনরাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘আল্লাহ সাক্ষী, হাঁ।’ সে বলল, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহই কি আপনাকে বছরের এ মাসে (রমযান) সাওম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘আল্লাহ সাক্ষী, হাঁ।’ সে বলল, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহই কি আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদের ধনীদের থেকে সদকা (যাকাত) উসূল করে গরীবদের মধ্যে ভাগ করে দিতে?’ নবী (সাঃ) বললেনঃ ‘আল্লাহ সাক্ষী, হাঁ।’ এরপর লোকটি বলল, ‘আমি ঈমান আনলাম আপনি যা (যে শরী‘আত) এনেছেন তার ওপর। আর আমি আমার কওমের রেখে আসা লোকজনের পক্ষে প্রতিনিধি, আমার নাম যিমাম ইব্ন সা’লাবা, বনী সা’দ ইব্ন বকর গোত্রের একজন।’ মূসা ও আলী ইব্ন আবদুল হামীদ (র) …….. আনাস (রা) সূত্রেও এরূপ বর্ণনা করেছেন।



➢   হাদিস ৬৩: মূসা ইব্‌ন ইসমাইল (র)…আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) কে প্রশ্ন করার ব্যাপারে কুরআনুল করীমে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল। আমরা পছন্দ করতাম, গ্রাম থেকে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি এসে তাঁর কাছে প্রশ্ন করুক আর আমরা তা শুনি। তারপর একদিন গ্রাম থেকে একজন লোক এসে বলল, ‘আমাদের কাছে আপনার একজন দূত গিয়েছে। সে আমাদের খবর দিয়েছে যে, আপনি বলেন, আল্লাহ্‌ তা’লায়া আপনাকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন।’ তিনি বললেনঃ ‘সে সত্য বলেছে।’ সে বলল, ‘আসলাম সৃষ্টি কে করেছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘মহিমময় আল্লাহ্‌ তা’লায়া।’ সে বলল, ‘পৃথিবী ও পর্বতমালা কে সৃষ্টি করেছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘মহিমময় আল্লাহ তালায়া।’ সে বলল, ‘এসবের মধ্যে উপকারী বস্তুসমূহ কে রেখেছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘মহিমময় আল্লাহ্‌ তা’লায়া।’ সে বলল, ‘তাহলে যিনি আসমান সৃষ্টি করেছেন, যমীন সৃষ্টি করেছেন, পর্বত স্থাপন করেছেন এবং তার মধ্যে উপকারী বস্তুসমূহ রেখেছেন, তাঁর কসম, সেই আল্লাহ্‌ই কি আপনাকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ।’ সে বলল, ‘আপনার দূত বলেছেন যে আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা এবং আমাদের মালের যাকাত দেয়া অবশ্য কর্তব্য।’ তিনি বললেনঃ ‘সে সত্য বলেছে।’ সে বলল, ‘যিনি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম, আল্লাহ্‌ই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ’। সে বলল, ‘আপনার দূত বলেছেন যে, আমাদের উপর বছরে একমাস সাওম পালন অবশ্য কর্তব্য।’ তিনি বললেনঃ ‘সে সত্য বলেছেন।’ সে বললে, ‘যিনি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন তাঁর কসম, আল্লাহ্‌ই কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ’। সে বলল, ‘আপনার দূত বলেছেন যে, আমাদের মধ্যে যার যাতায়াতের সামর্থ আছে, তার উপর বায়তুল্লাহ্‌র হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য।’ তিনি বললেনঃ ‘সে সত্য বলেছে।’ সে বলল, ‘যিনি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন তাঁর কসম, আল্লাহ্‌ই কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ।’ লোকটি বলল, ‘যিনি আপনাকে সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম, আমি এতে কিছু বাড়াবোও না, কমাবোও না। নবী (সাঃ) বললেনঃ ‘সে যদি সত্য বলে থাকে তবে অবশ্যই সে জান্নাতে দাখিল হবে।’



➢   হাদিস ৬৪: ইসমাঈল ইব্ন আবদুল্লাহ (র) …….. আবদুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে তাঁর চিঠি দিয়ে পাঠালেন এবং তাকে বাহরায়নের গভর্নরের কাছে তা পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিলেন। এরপর বাহরায়নের গভর্নর তা কিস্রা (পারস্য সম্রাট)-এর কাছে দিলেন। পত্রটি পড়ার পর সে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল। [বর্ণনাকারী ইব্ন শিহাব (র) বলেন] আমার ধারনা ইব্ন মুসায়্যাব (র) বলেছেন, (এ ঘটনার খবর পেয়ে) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের জন্য বদদু’আ করেন যে, তাদেরকেও যেন সম্পূর্ণরূপে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়।



➢   হাদিস ৬৫: মুহাম্মদ ইব্ন মুকাতিল (র) …সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম…….. আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) একখানি পত্র লিখলেন অথবা একখানি পত্র লিখতে মনস্থ করলেন। তখন তাঁকে বলা হল যে, তারা (রোমবাসী ও অনারবরা) সীলমোহরযুক্ত ছাড়া কোন পত্র পড়ে না। এরপর তিনি রূপার একটি আংটি (মোহর) তৈরী করালেন যার নকশা ছিল ——- আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির ঔজ্জ্বল্য (এখনও) দেখতে পাচ্ছি। [শু’বা (র) বলেন] আমি কাতাদ (র) কে বললাম, কে বলেছে যে, তার নকশা —– ছিল? তিনি বললেন, ‘আনাস (রা)।



➢   হাদিস ৬৬: ইসমা’ঈল (র) ………. আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার মসজিদে বসেছিলেন; তাঁর সঙ্গে আরও লোকজন ছিলেন। ইতিমধ্যে তিনজন লোক এলেন। তন্মধ্যে দু’জন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে এগিয়ে এলেন এবং একজন চলে গেলেন। আবূ ওয়াকিদ (রা) বলেন, তাঁর দু’জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর তাঁদের একজন মজলিসের মধ্যে কিছুটা জায়গা দেখে সেখানে বসে পড়লেন এবং অন্যজন তাদের পেছনে বসলেন। আর তৃতীয় ব্যক্তি ফিরে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিস শেস করে (সাহাবায়ে কিরামকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এই তিন ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু বলব? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে তাই আল্লাহ তাকে স্থান দিয়েছেন। অন্যজন (ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে অথবা ফিরে যেতে) লজ্জাবোধ করেছেন। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।



➢  হাদিস ৬৭: মুসাদ্দাদ (র) ……… আবূ বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার নবী করীম (সাঃ) এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপর বসেছিলেন। একজন লোক তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বললেনঃ ‘আজ কোন দিন?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোন নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কুরবানীর দিন নয় কি?” ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ ‘এটা কোন মাস?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ ‘এটা যিলহজ্জ নয় কি?’ আমরা বললাম, ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ জেনে রাখ। ‘তোমাদের জান, তোমাদের মাল, তোমাদের সন্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ মাস, তোমাদের এ শহর, আজকের এ দিন সন্মানিত। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। কারন উপস্থিত ব্যক্তি হয়ত এমন এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার থেকে বেশি মুখস্থ রাখতে পারবে।’ ৫২. পরিচ্ছেদঃ কথা ও আমলের পূর্বে ইলম জরুরী আল্লাহ তা’আলার ইরশাদঃ ——- “সুতরাং জেনে রাখ, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই।” (৪৭:১৯) এখানে আল্লাহ তা’আলা ইলমের কথা আগে বলেছেন। আলিমগণই নবীগণের ওয়ারিস। তাঁরা ইলমের ওয়ারিস হয়েছেন। তাই যে ইলম হাসিল করে সে বিরাট অংশ লাভ করে। আর যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ “আল্লাহর বান্দাদের মেধ্য আলিমগণই তাঁকে ভয় করে।” (৩৫:২৮) আল্লাহ তা’আলা আরো ইরশাদ করেনঃ “আলিমগণ ছাড়া কেউ তা বুঝে না।” অন্যত্র ইরশাদ হয়েছেঃ “তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জাহান্নামী হতাম না।” (৬৭:১০) আরো ইরশাদ করেনঃ “বল যাদের ইলম আছে এবং যাদের ইলম নেই তারা কি সমপর্যায়ের?” (৩৯:৯) নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন। আর অধ্যয়নের মাধ্যমেই ইলম অর্জিত হয়। আবূ যর (রা) তাঁর ঘাড়ের দিকে ইশারা করে বলেন, যদি তোমরা এখানে তরবারী ধর, এরপর আমি বুঝতে পারি যে, তোমরা আমার ওপর সে তরবারী চালাবার আগে আমি একটু কথা বলতে পারব, যা নবী করীম (সাঃ) থেকে শুনেছি, তবে অবশ্যই আমি তা বলে ফেলব। নবী করীম (সাঃ) এর বাণীঃ উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়। ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, —— (তোমরা রব্বানী হও)। এখানে —— মানে প্রজ্ঞাবান, আলিম ও ফকীহ্গণ। আরো বলা হয়ে —– সে ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে জ্ঞানের বড় বড় বিষয়ের পূর্বে ছোট ছোট বিষয় শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন। ৫৩। পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) ওয়ায-নসীহতে ও ইল্‌ম শিক্ষা দানে উপযুক্ত সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে লোকজন বিরক্ত না হয়ে পড়ে।



➢  হাদিস ৬৮: মুহাম্মদ ইব্ন ইউসুফ (র) ………. ইব্ন মাস’উদ (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) আমাদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্দিষ্ট দিনে ওয়ায-নসীহত করতেন, আমরা যাতে বিরক্ত না হই।



➢  হাদিস ৬৯: মুহাম্মদ ইব্ন বাশ্মার (র) ………. আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা (দীনের ব্যাপারে) সহজ পন্থা অবলম্বন করবে, কঠিন পন্থা অবলম্বন করবে না, মানুষকে সুসংবাদ শোনাবে, বিরক্তি সৃষ্টি করবে না।



➢  হাদিস ৭০: ‘উসমান ইব্ন আবূ শায়বা (র) …….. আবূ ওয়াইল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ইব্ন মাস’উদ (রা) প্রতি বৃহস্পতিবার লোকদের ওয়ায-নসীহত করতেন। তাঁকে একজন বলল, ‘হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমার মন চায় যেন আপনি প্রতিদিন আমাদের নসীহত করেন। তিনি বললেনঃ এ কাজ থেকে আমাকে যা বিরত রাখে তা হল, আমি তোমাদের ক্লান্ত করতে পছন্দ করি না। আর আমি নসীহত করার ব্যাপারে তোমাদের (অবস্থার) প্রতি লক্ষ্য রাখি, যেমন নবী (সাঃ) আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন আমাদের ক্লান্তির আশংকায়।



➢  হাদিস ৭১: সাঈদ ইব্ন ‘উফায়র (র) ………. হুমায়দ ইব্ন ‘আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি মু’আবিয়া (রা) –কে বক্তৃতারত অবস্থায় বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন। আমি তো কেবল বিতরণকারী, আল্লাহই দানকারী। সর্বদাই এ উম্মাত কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর হুকুমের উপর প্রতিষ্টিত থাকবে, বিরুদ্ধবাদীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।



➢   হাদিস ৭২: ‘আলী ইব্ন ‘আবদুল্লাহ্ (র) ……… মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সফরে মদীনা পর্যন্ত ইব্ন উমর (রা) এর সঙ্গে ছিলাম। এ সময় তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) থেকে একটি মাত্র হাদীস রেওয়ায়েত করতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমরা একবার নবী (সাঃ) এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর নিকট খেজুর গাছের মথি আনা হল। তারপর তিনি বললেনঃ গাছপালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার দৃষ্টান্ত মুসলিমের ন্যায়। তখন আমি বলতে চাইলাম যে, তা হল খেজুর গাছ, কিন্তু আমি ছিলাম উপস্থিত সবার চাইতে বয়সে ছোট। তাই চুপ করে রইলাম। তখন নবী (সাঃ) বললেনঃ ‘গাছটি হলো খেজুর গাছ।’ ৫৭. পরিচ্ছেদঃ ইল্‌ম ও হিকমতের ক্ষেত্রে সমতুল্য হওয়ার আগ্রহ ‘উমর (রা) বলেন, তোমরা নেতৃত্ব লাভের আগেই জ্ঞান হাসিল করে নাও। আবূ আবদুল্লাহ্ (বুখারী) বলেন, আর নেতা বানিয়ে দেওয়ার পরও, কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ বয়োবৃদ্ধকালেও ইলম শিক্ষা করেছেন।



➢  হাদিস ৭৩: হুমায়দী (র) ……….. আবদুল্লাহ্ ইব্ন মাস’উদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কেবলমাত্র দু’টি ব্যাপারই ঈর্ষা করা যায়; (১) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ তা’আলা সম্পদ দিয়েছেন, এরপর তাকে হক পথে অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতা দেন; (২) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ তা’আলা হিকমত দান করেছেন, এরপর সে তার সাহায্যে ফায়সালা করে ও তা শিক্ষা দেয়।



➢  হাদিস ৭৪: মুহাম্মদ ইব্ন গুরায়র আয-যুহরী (র) …….. ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি এবং হুর ইব্ন কায়স ইব্ন হিসন আল ফাযারী মূসা (আ) এর সঙ্গী সম্পর্কে বাদানুবাদ করেছিলেন। ইব্ন আব্বাস (রা) বললেন, তিনি ছিলেন খিযর। ঘটনাক্রমে তখন তাদের পাশ দিয়ে উবাঈ ইব্ন কা’ব (রা) যাচ্ছিলেন। ইব্ন ‘আব্বাস (রা) তাঁকে ডেকে বললেনঃ আমি ও আমার এ ভাই মতবিরোধ পোষণ করছি মূসা (আ) এর সেই সঙ্গীর ব্যাপারে যাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য মূসা (আ) আল্লাহর কাছে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন—আপনি কি নবী (সাঃ)কে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, একবার মূসা (আ) বনী ইসরাঈলের কোন এক মজলিসে হাজির ছিলেন। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বলে জানেন কি?’ মূসা (আ) বললেন, ‘না।’ তখন আল্লাহ তা’আলা মূসা (আ) এর কাছে ওহী পাঠালেনঃ হাঁ, আমার বান্দা খিযর।’ অতঃপর মূসা (আ) তাঁর সাথে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন। আল্লাহ তা’আলা মাছকে তার জ্ন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাঁকে বলা হল, তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরে আসবে। কারন, কিছুক্ষনের মধ্যেই তুমি তাঁর সাক্ষাত পাবে। তখন তিনি সমুদ্রে সে মাছের অনুসরন করতে লাগলেন। মূসা (আ) কে তাঁর সঙ্গী যুবক বললেন, (কুরআণ মজীদের ভাষায়ঃ) “আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন পাথরের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তান তার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। ……..মূসা বললেন, আমরা তো সে স্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম। এরপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল। (১৮:৬৩-৬৪) তাঁরা খিযরকে পেলেন। তাদের ঘটনা তা-ই, যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন।



➢   হাদিস ৭৫: আবূ মা’মার (র) ………. ইব্ন ‘আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) একবার আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেনঃ ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে কিতাব (কুরআন) শিক্ষা দিন।’



➢   হাদিস ৭৬: ইসমাঈল (র) ……… ‘আবদুল্লাহ্ ইব্ন ‘আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি বালিগ হবার নিকটবর্তী বয়সে একবার একটি মাদী গাধার উপর সওয়ার হয়ে এলাম। আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তখন কোন দেওয়াল সামনে না রেখেই মিনায় সালাত আদায় করছিলেন। তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে গেলাম এবং মাদী গাধাটিকে চরে ঘাওয়ার জন্য ছেড়ে দিলাম। আমি কাতারে ভেতর ঢুকে পড়লাম কিন্তু এতে কেউ আমাকে নিষেধ করলেন না।



➢   হাদিস ৭৭: মুহাম্মদ ইব্ন ইউসুফ (র) ……… মাহমূদ ইবনুর-রাবী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার মনে আছে, নবী (সাঃ) একবার বালতি থেকে পানি নিয়ে আমার মুখমন্ডলে কুলি করে দিয়েছিলেন, তখন আমি ছিলাম পাঁচ বছরের বালক।



➢   হাদিস ৭৮: হিম্স নগরের কাযী আবুল কাসিম খালিদ ইব্ন খালীয়ি (র) ……… ইব্ন ‘আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি এবং হুর ইব্ন কায়স ইব্ন আল ফাযারী মূসা (আ) এর সঙ্গীর ব্যাপারে বাদানুবাদ করছিলেন। তখন উবাঈ ইব্ন কা’ব (রা) তাঁদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ইব্ন ‘আব্বাস (রা) তাঁকে ডেকে বললেনঃ আমি ও আমার এ ভাই মতবিরোধ পোষণ করছি মূসা (আ) এর সেই সঙ্গীর ব্যাপারে যাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য মূসা (আ) আল্লাহর কাছে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন—আপনি কি নবী (সাঃ) কে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন? উবাঈ (রা) বললেন, হাঁ, আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, একবার মূসা (আ) বনী ইসরাঈলের কোন এক মজলিসে হাজির ছিলেন। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বলে জানেন কি?’ মূসা (আ) বললেন, ‘না।’ তখন আল্লাহ তা’আলা মূসা (আ) এর কাছে ওহী পাঠালেনঃ হাঁ, আমার বান্দা খিযর।’ অতঃপর মূসা (আ) তাঁর সাথে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন। আল্লাহ তা’আলা মাছকে তার জ্ন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাঁকে বলা হল, তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরে আসবে। কারন, কিছুক্ষনের মধ্যেই তুমি তাঁর সাক্ষাত পাবে। তখন তিনি সমুদ্রে সে মাছের অনুসরন করতে লাগলেন। যা হোক, মূসা (আ) কে তাঁর সঙ্গী যুবক বললেন, (কুরআণ মজীদের ভাষায়ঃ) “আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন পাথরের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা (বলতে) ভুলে গিয়েছিলাম। শয়তান তার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল।” (১৮:৬৩)।…মূসা বললেনঃ “আমরা সে স্থানটির অনুসন্ধান করছিলাম। (১৮:৬৪) তারপর তাঁরা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন। শেষে তাঁর খিযর (আ)-কে পেয়ে গেলেন। তাঁদের (পরবর্তী) ঘটনা আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন।



➢   হাদিস ৭৯: মুহাম্মদ ইব্নুল-আলা (র) …… আবূ মূসা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমাকে যে হিদায়ত ও ইলম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল যমীনের উপর পতিত প্রবল বৃষ্টির ন্যায়। কোন কোন ভূমি থাকে উর্বর যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমানে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। আর কোন কোন ভূমি থাকে কঠিন যা পানি আটকে রাখে। পরে আল্লাহ তা’আলা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন; তারা নিজেরা পান করে ও (পশুপালকে) পান করায় এবং তার দ্বারা চাষাবাদ করে। আবার কোন কোন জামি আছে যা একেবারে মসৃণ ও সমতল; তা না পানি আটকে রাখে, আর না কোন ঘাসপাতা উৎপাদন করে। এই হল সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত যে দীনের জ্ঞান লাভ করে এবং আল্লাহ তা’আলা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাতে সে উপকৃত হয়। ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। আর সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত-যে সে েদিকে মাথা তুলে তাঁকায়ই না এবং আল্লাহর যে হিদায়ত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি, তা গহণও করে না। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (মুখারী) (র) বলেনঃ ইসহাক (র) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি —- এর স্থলে —– (আটকিয়ে রাখে) ব্যবহার করেছেন। —- হল এমন ভূমি যার উপর পানি জমে থাকে। আর —— হল সমতল ভূমি।



➢   হাদিস ৮০: ‘ইমরান ইব্ন মায়সারা (র) …….. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞাতার বিস্তৃতি ঘটবে, মদপান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।

Load comments