Friday, 2 February 2018

তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত পর্ব ২- বুখারী শরীফ

তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত পর্ব ২- বুখারী শরীফ

১১৫৩ আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহ্‌রের সালাত (নামায/নামাজ) পাঁচ রাকা'আত আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, সালাত (নামায/নামাজ) কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেন, এ প্রশ্ন কেন? (প্রশ্নকারী) বললেন, আপনি তো পাঁচ রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। অতএব তিনি সালাম ফিরানোর পর দু'টি সিজ্‌দা করলেন।

১১৫৪ আদম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সালাত (নামায/নামাজ) কি কম হয়ে গেল? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, সে যা বলছে তা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি আরও দু রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। পরে দু'টি সিজ্‌দা করলেন। সা'দ (রাঃ) বলেন, আমি উরাওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি মাগরিবের দু' রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং কথা বললেন। পরে অবশিষ্ট সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে দু'টি সিজ্‌দা করলেন। এবং বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন।

১১৫৫ আবদুল্লাহ‌ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু' রাকা'আত আদায় করে সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করলেন। যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‌! সালাত (নামায/নামাজ) কি কম করে দেয়া দেওয়া হয়েছে, না কি আপনি ভুলে গেছেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, যুল-ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? মুসল্লীগণ বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে আরও দু' রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন এবং তাক্‌বীর বললেন, পরে সিজদা করলেন, স্বভাবিক সিজ্‌দার মতো বা তাঁর চেয়ে দীর্ঘ। এরপর তিনি মাথা তুললেন।

১১৫৬ সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) সালামা ইবনু আলকামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবনু সীরীন) (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, সিজ্‌দায়ে সহুর পর তাশাহ্‌হুদ আছে কি? তিনি বললেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর হাদীসে তা নেই।

১১৫৭ হাফ্‌স ইবনু উমর (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের কোন এক সালতে দু' রাকা'আত আদায় করে সালাম ফিরালেন। মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমার প্রবল ধারনা, তা ছিল আসরের সালাত (নামায/নামাজ)। তারপর মসজিদের একটি কাষ্ঠ খণ্ডের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং উহার উপর হাত রাখলেন। মুসল্লীগণের ভিতরে সামনের দিকে আবূ বক্‌র (রাঃ) ও উমর (রাঃ) ও ছিলেন। তাঁরা উভয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাড়াহুড়া-কারী মুসল্লিগণ বেরিয়ে পড়লেন। তারা বলাবলি করতে লাগলেন, সালাত (নামায/নামাজ) কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে? কিন্তু এক ব্যাক্তি, যাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যূল ইয়াদাইন ডাকতেন, জিজ্ঞাসা করল আপনি কি ভুলে গেছেন, না কি সালাত (নামায/নামাজ) কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি আর সালাত (নামায/নামাজ)ও কম করা হয়নি। তখন তিনি দু' রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে সালাম ফিরালেন। তারপর তাক্‌বীর বলে সিজ্‌দা করলেন, স্বভাবিক সিজ্‌দার ন্যায় বা তার চেয়ে দীর্ঘ। তারপর মাথা উঠিয়ে আবার তাক্‌বীর বলে মাথা রাখলেন অর্থাৎ তাক্‌বীর বলে সিজ্‌দায় গিয়ে স্বভাবিক সিজ্‌দার মত অথবা তার চাইতে দীর্ঘ সিজ্‌দা করলেন। এরপর মাথা উঠিয়ে তাক্‌বীর বললেন।

১১৫৮ কুতাইবা ইবনু সা'য়ীদ (রহঃ) আবদুল্লাহ‌ ইবনু বুহাইনা আসা’দী (রাঃ) যিনি বনূ আবদুল মুত্তালিবের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তাঁর থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহ্‌রের সালাত (নামায/নামাজ) (দু' রাকা'আত আদায় করার পর) না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। সালাত (নামায/নামাজ) পূর্ণ করার পর সালাম ফিরাবার আগে তিনি বসা অবস্থায় ভুলে যাওয়া বৈঠকের স্থলে দু'টি সিজ্‌দা সম্পূর্ণ করলেন, প্রতি সিজ্‌দায় তাক্‌বীর বললেন। মুসল্লীগণও তাঁর সঙ্গে এ দু'টি সিজ্‌দা করল। ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে তাক্‌বীরের কথা বর্ণনায় ইবনু জুরাইজ (রহঃ) লায়স (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।

১১৫৯ মু'আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে আযান শুনতে না পায় আর তার পশ্চাঁদ-বায়ূ সশব্দে নির্গত হতে থাকে। আযান শেষ হয়ে গেলে সে এগিয়ে আসে। আবার সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য ইকামত দেওয়া হলে সে পিঠ ফিরিয়ে পালায়। ইকামত শেষ হয়ে গেলে আবার ফিরে আসে। এমন কি সে সালাত (নামায/নামাজ) রত ব্যাক্তির মনে ওয়াস্‌ওয়াসা সৃষ্টি করে এবং বলতে থাকে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, যা তার স্মরণে ছিল না। এভাবে সে ব্যাক্তি কত রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে তা স্মরণ করতে পারে না। তাই, তোমাদের কেউ তিন রাকা'আত বা চার রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে, তা মনে রাখতে না পারলে বসা অবস্থায় দু'টি সিজ্‌দা করবে।

১১৬০ আবদুল্লাহ‌ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ল্লহা্‌ বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সালাত (নামায/নামাজ) দাঁড়ালে শয়তান এসে তাকে সন্দেহে ফেলে, এমনকি সে বুঝতে পারে না যে, সে কত রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে। তোমাদের কারো এ অবস্থা হলে সে যেন বসা অবস্থায় দু'টি সিজ্‌দা করে।

১১৬১ ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সুলাইমান (রহঃ) কুরাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা এবং আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাঃ) তাঁকে আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ থেকে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দু' রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। তাঁকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দু' রাকা'আত আদায় করেন, অথচ আমাদের কাছে পৌঁছেছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দু' রাকা'আত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সংবাদ আরও বলেন যে, আমি উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে এ সালাত (নামায/নামাজ)-এর কারণে লোকদের মারধোর করতাম। কুরাইব (রহঃ) বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁদের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, উম্মে সালামা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা কর। [কুরাইব (রহঃ) বলেন] আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাঁদের কাছে গেলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাঃ)-এর কথা জানালাম। তখন তাঁরা আমাকে আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে যে বিষয় নিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে পুনরায় উম্মে সালামা (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, আমিও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তা নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ তারপর তাঁকে তা আদায় করতেও দেখেছি। একদিন তিনি আসরের সালাত (নামায/নামাজ)-এর পর আমার ঘরে তাশরীফ আনলেন। তখন আমার কাছে বনূ হারাম গোত্রের আনসারী কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমি বাঁদীকে এ বলে তাঁর কাছে পাঠালাম যে, তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলবে, উম্মে সালামা (রাঃ) আপনার কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনাকে (আসরের পর সালাত (নামায/নামাজ)-এর) দু' রাকা'আত নিষেধ করতে শুনেছি; অথচ দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন? যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন, তাহলে পিছনে সরে থাকবে, বাঁদি তা-ই করল। তিনি ইশারা করলেন, সে পিছনে সরে থাকল। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি বললেন, হে আবূ উমায়্যার কন্যা! আসরের পরের দু' রাকা'আত সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ। আবদুল কায়স গোত্রের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। তাদের কারণে যুহ্‌রের পরের দু' রাকা'আত আদায় করা থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ দু' রাকা'আত সে দু' রাকা'আত। ১১ ঘটনাটি একবারের হলেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বিশিষ্টের কারণে তা নিয়মিত সালাত (নামায/নামাজ) পরিনত হয়। কারন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন আমল একবার শুরু করলে তা নিয়মিত করতেন।

১১৬২ কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) সাহ্‌ল ইবনু সা'দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সংবাদ পৌঁছে যে, বনূ আমর ইবনু আওফ-এ কিছু ঘটেছে। তাদের মধ্যে আপোস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‌ সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে সালাত (নামায/নামাজ)-এর সময় হয়ে গেল। বিলাল (রাঃ) আবূ বক্‌র (রাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আবূ বকর! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সালাত (নামায/নামাজ)-এর সময় হয়ে গিয়েছে, আপনি কি সালাত (নামায/নামাজ) লোকদের ইমামতি করতে প্রস্তুত আছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তুমি চাও। তখন বিলাল (রাঃ) ইকামত বললেন এবং আবূ বক্‌র (রাঃ) সামনে গিয়ে লোকদের জন্য তাক্‌বীর বললেন। এদিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ল্লহা্‌ তাশরীফ আনলেন এবং কাতারের ভিতর দিয়ে হেঁটে (প্রথম) কাতারে এসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুসল্লীগণ তখন হাততালি দিতে লাগলেন। আবূ বক্‌র (রাঃ)-এর অভ্যাস ছিল যে, সালাত (নামায/নামাজ) এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ যখন অধিক পরিমানে হাততালি দিতে লাগলেন, তখন তিনি সেদিকে তাকালেন এবং রসূলুল্লাহ্‌ -কে দেখতে পেলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশারা করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে থাকার নির্দেশ দিলেন। আবূ বক্‌র (রাঃ) দু'হাত তুলে আল্লাহর হাম্‌দ বর্ণনা করলেন এবং পিছনের দিকে সরে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে এগিয়ে লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে মুসল্লীগণের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, হে লোক সকল! তোমাদের কি হয়েছে, সালাত (নামায/নামাজ) কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাততালি দিতে থাক কেন? হাততালি তো মেয়েদের জন্য। কারো সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সে যেন 'সুবহানাল্লাহ্‌' বলে। কারণ, কেউ অন্যকে 'সুবহানাল্লাহ্‌' বলতে শুনলে অবশ্যই সেদিকে লক্ষ্য করবে। তারপর তিনি বললেন, হে আবূ বক্‌র! তোমাকে আমি ইশারা করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে বাধা দিল? আবূ বক্‌র (রাঃ) বললেন, কুহাফার ছেলের জন্য এ সমীচীন নয় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , -এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে।

১১৬৩ ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সুলাইমান (রহঃ) আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে গেলাম, তখন তিনি দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন, আর লোকেরাও সালাত (নামায/নামাজ) দাঁড়ানো ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, লোকদের অবস্থা কি? তখন তিনি তাঁর মাথা দ্বারা আকাশের দিকে ইশারা করলেন। আমি বললাম, ইহা কি নিদর্শন? তিনি আবার তাঁর মাথার ইশারায় বললেন, হ্যাঁ।

১১৬৪ ইস্‌মায়ীল (রহঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অসুস্থ অবস্থায় তাঁর ঘরে বসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করহিলেন। একদল সাহাবী তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে লাগলেন। তিনি তাদে প্রতি ইশারা করলেন, বসে যাও। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি বললেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাঁকে অনুসরণ করার জন্য। কাজেই তিনি রুকু' করলে তোমরা রুকু' করবে; আর তিনি মাথা তুললে তোমরাও মাথা তুলবে।

Load comments